দ্রুত কথা বলে জড়তা কাটুন জড়িয়ে যাওয়া বাক্য গুলো দিয়ে


অনেকেইর কথা বলতে সমস্যা। কথা জড়িয়ে যায় তাই কথা জড়িয়ে দেওয়া বাক্য গুলো নিয়ে প্রাকটিস করতে করতে স্বালীল ভাবে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।



বাক্যটি দ্রুত পাঁচবার বলে ফেলুন
"জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা" “পাখি পাকা পেঁপে খায়” "কত না জনতা জানালো যাতনা যতনে"
...............................................এ কথাটা বলতে পারবে?
এবার শুরু করা যাক
(এক) "কত না জনতা জানালো যাতনা যতনে",
(দুই) "কত না জনতা জানালো যাতনা যতনে"............


(তিন.) "কত না জনতা জানালো .... "
দ্রুত বলতে গিয়ে দুইবারেই কথা জড়িয়ে কুপোকাত হয়েছেন।

প্রত্যেক দেশেই এমন বাক্য বা প্রবাদ দিয়ে বানানো এমন জড়িয়ে যাওয়া কথাগুলো আছে । ইংরেজিতে এই বাক্যগুলোকে বলে Tongue Twister. মানে যে বাক্য জিহ্বাকে পেঁচিয়ে ফেলে। ইংরেজি ভাষার একটা খুব জনপ্রিয় Tongue Twister হল, she sells sea-shells on the sea-shore। এটা ব্রিটিশ একজন গীতিকার নাম তার টেরি সুলিভান লিখেছিলেন মেরি অ্যানিং নামে একজন জীবাশ্ম সংগ্রহকারীকে নিয়ে। তবে এখান থেকে Tongue Twister আসেনি। Tongue Twister বহু আগে থেকেই সব ভাষার মানুষ নিজ নিজ মতো করে বলে আসছে।

বাংলা ভাষায়ও এমন বহু বাক্য আছে যেমন—
১। পাখি পাকা পেঁপে খায়।
২। বাবলা গাছে বাঘ ঝুলে।
৩। জলে চুন তাজা, তেলে চুল তাজা।
৪। চাচা চাচা চটা চেঁচোনা।
৫। বার হাড়ি রাবড়ি বড় বাড়াবাড়ি।
৬। গড়ের মাঠে গরুর গাড়ি গড়গড়িয়ে যায়।
৭। কাচা গাব পাকা গাব।
৮। কত না জনতা জানালো যাতনা যতনে। এমন আরও অনেক আছে।

এ ধরণের বাক্যগুলো আসলে শব্দ নিয়ে খেলা করতে বা বাচ্চাদের উচ্চারণ ঠিক করতে ব্যবহৃত হয়। তবে, বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন এ শব্দগুলো উচ্চারণ করতে গেলে আমরা কেন গুলিয়ে যাই।
আমরা যখন কথা বলি তখন আমাদের জিহ্বা, ঠোঁট, মুখের তালু, চোয়াল এগুলো ব্যবহৃত হয়। মস্তিষ্কের যে অংশ এই কথা বলার কাজটা নিয়ন্ত্রণ করে তার নাম হল, ভেনটরাল সেনসরিমোটর করটেক্স বা ventral sensorimotor cortex (vSMC)। একই রকমের বা কাছাকাছি উচ্চারণ জটিল বাক্য পরপর উচ্চারণ করতে গেলে একবার উচ্চারণের পরে সেটার রেস থেকে যায়, খুব দ্রুতই আবার কাছাকাছি কোনো ধ্বনি উচ্চারণ করতে গেলে মস্তিষ্কের ভেনটরাল সেনসরিমোটর করটেক্স তরঙ্গ প্রবাহে একটা বাধা আসে, ফলে আমাদের কথা জড়িয়ে যায়।

কথা জড়িয়ে যাক অথবা না যাক অন্যকে অবাক করে দিতে আর আর মজা নিতে  এই উচ্চারণ অনুশীলন এভাবে বিভ্রান্তিকর শব্দ কিন্তু আমরা করতেই পারি।
অনেক ভাষায় এ রকম শব্দ নতুন করে তৈরি করাও হয়। আমরাও চাইলে একটা দুটো বানিয়েই ফেলতে পারি।



Popular posts from this blog

বিয়ের পরে ঘর সাজানোর প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র