যাত্রা নিরাপদ করতে মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ
মোটরসাইকেল যতটা সুবিধাজনক ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকি এড়াতে চালকের দক্ষতার পাশাপাশি মোটরসাইকেলটিও ভালো অবস্থায় থাকা চাই। মোটরসাইকেলটি নামি-দামি ব্র্যান্ডের না হলেও চলবে।
নিয়মিত পরিচর্যা করলে কমদামি মোটরসাইকেলও প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
যন্ত্রাংশ:
ঢাকায় মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ কেনার আদর্শ স্থান বংশাল, মিরপুর ১০ নম্বর ও বাংলামটর। মোটরসাইকেল ও এলাকা ভেদে যন্ত্রাংশের দামের তারতম্য হয়। দরদাম সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দিলেন বাংলামটরের সেন্ট্রাল
বাইক সার্ভিস দোকানের মালিক শহীদ আহমেদ। যন্ত্রাংশ আছে অসংখ্য এগুলোর দাম অবস্থান ভেদে ভিন্ন ধরনে হয়ে থাকে
বাইক সার্ভিস দোকানের মালিক শহীদ আহমেদ। যন্ত্রাংশ আছে অসংখ্য এগুলোর দাম অবস্থান ভেদে ভিন্ন ধরনে হয়ে থাকে
- ক্লাচ প্লেট পাওয়া যাবে ৩শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকায়।
- সিগনাল লাইট মিলবে ৮০ থেকে ৫শ’ টাকায়।
- হেডলাইট, সিগনাল লাইটের বাল্বগুলো মিলবে ৩০ থেকে ২শ’ টাকার মধ্যে।
- মোটরসাইকেল ভেদে ব্রেক লিভার, ক্লাচ লিভারের দাম দেড়শ থেকে আড়াইশ টাকা।
- ড্রাম ব্রেক শু’য়ের দাম ২শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা।
- হাইড্রলিক ব্রেকের প্লেট মিলবে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায় আর
- ব্রেক শু মিলবে ২শ’ থেকে ২ হাজার ২শ’ টাকায়।
- বাম্পার মিলবে ১ হাজার টাকার মধ্যে।
- লুকিং গ্লাসের দাম পড়বে দেড়শ থেকে দেড় হাজার টাকা।
- ব্রেক কেবল, ক্লাচ কেবল, চোক কেবল মিলবে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকায় আর শুধু তার মিলবে ৩০ টাকায়।
- বিভিন্ন ধরনের তালা মিলবে দেড়শ টাকা থেকে ৫ হাজায় টাকায়।
- হেলমেট ৫শ’ থেকে ১০ হাজার টাকা।
- স্পার্ক প্লাগের দাম ৫০ থেকে ২শ’ টাকা।
- কার্বোরেটর ৭শ’ থেকে ৮ হাজার টাকায় মিলবে
চালানোর পরিমাণ ভেদে এক থেকে দুই মাস পরপরই মোটরসাইকেল সার্ভিসিং করানো ভালো। ৫শ’ টাকার সার্ভিসিংয়ে মোটরসাইকেল ধোয়া, এয়ার ফিল্টার, কার্বোরেটর, স্পার্ক প্লাগ ও চেইন পরিষ্কার, টিউনিং ইত্যাদি সেবা মিলবে।
এছাড়াও খুঁটিনাটি কাজগুলো করিয়ে নিতে পারবেন একসঙ্গে। তবে নিজে বসে থেকে কাজগুলো করিয়ে নিতে হবে। মবিল পাল্টাতে হয়১ হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটারে চালানোর পর ।
শহীদ আহমেদ জানান, ব্র্যান্ড ও গুণগত মানভেদে মবিলের দাম হয় ৪শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা। তবে মোটরসাইকেলের সঙ্গে মানানসই হয় এমন মবিল বেছে নিতে হবে এবং নিয়মিত সেটাই ব্যবহার করা উচিত।
==================