রবি ও এয়ারটেলর একীভূতকরণ
এক হয়ে গেলো দুই টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি ও এয়ারটেল। প্রতিষ্ঠানটি রবি আজিয়াটা লিমিটেড নামে পরিচালিত হবে। ‘রবি’ ব্র্যান্ডের পাশাপাশি রবি আজিয়াটার একটি স্বাধীন ব্র্যান্ড হিসেবে থাকবে ‘এয়ারটেল’।
সোমবার রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে একীভূত হয়ে ব্যবসা পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের আলোচনা শুরুর ঘোষণার মধ্য দিয়ে একীভূতকরণের যে
প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল সেটি আজ শেষ হলো।
একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষে রবির সিংহভাগ অর্থাৎ ৬৮ দশমিক সাত শতাংশ মালিকানায় রয়েছে আজিয়াটা। ভারতী এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ এবং বাকি ৬ দশমিক ৩ শতাংশের মালিক জাপানের এনটিটি ডোকোমো।
একীভূতকরণ শেষে বর্তমানে রবির মোট গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন কোটি ২২ লাখ। একইসঙ্গে রবি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, “এয়ারটেলের সাথে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শেষ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে শেষ হওয়ার জন্য আমরা আমাদের শেয়ারহোল্ডার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং রবি ও এয়ারটেলের গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।”
বাংলাদেশে একীভূত হয়ে ব্যবসা পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের আলোচনা শুরুর ঘোষণার মধ্য দিয়ে একীভূতকরণের যে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল সেটি বুধবার শেষ হলো।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ (আজিয়াটা) ও ভারতী এয়ারটেল অব ইন্ডিয়া (ভারতী) বাংলাদেশে তাদের কোম্পানিগুলাকে একীভূতকরণের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
ওই চুক্তির ভিত্তিতেই গত ৩১ আগস্ট মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেল একীভূত হতে আদালতের অনুমোদন পায়। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবি-এয়ারটেল একীভূত হওয়ার প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদন দেন।
=================